#অতৃপ্ত_আত্মা (বাংলা গল্প)
#অতৃপ্ত_আত্মা
,
Writer: Rimon Mahmud
,
রাত তখন বারোটা বাজে শুয়ে শুয়ে বন্ধুদের সাথে ম্যাসেঞ্জারে কথা বলছি। কথা বলার এক পর্যায়ে হঠাৎ করে ডাটা অফ হয়ে যায়। আবার অন করতেই অফ হয়ে যায়। ভাবলাম টেকনিক্যাল কোন সমস্যার জন্য হয়তো বা এমনটা হচ্ছে। এই ভেবে ফোনটা অফ করে শুয়ে আছি। রাতের বেলা আমার রুমের ডীম লাইট জ্বালানো থাকে। ঘোমের নেশায় চোখ দুটো বন্ধ হওয়ার উপক্রম। সে মুহূর্তে খেয়াল করলাম ডীম লাইট অফ অন ম্যাজিক শুরু করে দিছে। বিছানা থেকে এক লাফে উঠে সুইচ বন্ধ করে দিলাম।ভাবলাম কোন সমস্যার জন্যই হয়তো এমনটা হচ্ছে। যখন চোখটা লেগে আসছে তখন চোখের সামনে একটা আলো ভেসে আছে। ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে আড় চোখে তাকিয়ে দেখি ওই ডীম লাইট আবার অন অফ হচ্ছে। কিন্তু আলোটা এনার্জি লাইটের আলোর মতো। আর সেই সাদা আলোয় পিন্ডের মত কিছু দেখা যাচ্ছে। ঘুমের ঘোরে কি উল্টাপাল্টা দেখছি নাকি। বিছানার উপর বসে বসে এগুলোই চিন্তা করছি। তার একটু পরে দরজায় ঠুকঠুকানো টুকার আওয়াজ শুনতে পেলাম। মনের ভিতর একটা আতঙ্কের সৃষ্টি হলো।শব্দটা ক্রমে ক্রমে বাড়তেই থাকলো। হতে পারে আমাকে ভয় দেখানোর জন্য কেউ এমন করছে।কিন্তু এত রাতে কেউ ভয় দেখানোর জন্য এমনটাই করবে কেনো। হাজার প্রশ্ন নিয়ে ভয়ে ভয়ে দরজাটা খুলে দেখি কেউ নেই। আশেপাশে ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম কেউ নেই। জ্যোৎস্না রাত তাই বাহিরে দিনের মত আলো।কিন্তু আমি স্পষ্ট শব্দ শুনতে পেলাম। চোখে মুখে পানি দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেখি লাইটটা আগের মতই করছে। রাগে লাইটট খুলে টেবিলের উপর রেখে দিলাম। সত্যি বলতে আমার ভয় লাগছিলো। বাড়িতে মা ছাড়া আর কেউ নেই। বাবা চাকরির সুবাদে ঢাকা থাকে। এইদিকে মা ও খুব অসুস্থ এত রাতে সজাগ করা ঠিক হবে না। আবার যখন চোখটা একটু লেগে আসলো তখন দরজায় সেই আগের মতই শব্দ শুনতে পেলাম।এতটাই রাগ উঠছিলো যে ভয় পাওয়ার স্বত্বেও রুম থেকে একটা রড নিয়ে দরজা খুললাম।উঠানে বের হয়ে এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখলাম কেউ নেই। কিন্তু আমার সামনে সাদা একটা ছায়া ঘোরপাক করছে। আমি ওই ছায়াটার যত কাছে যাচ্ছি ছায়াটা ততই আমার থেকে পিছনের দিকে যাচ্ছে। এইভাবে এগোতে এগোতে আমি বাড়ির পাশের ঝোপের মধ্যে ঢুকে যায়। তখন আর ছায়াটাকে দেখতে পেলাম না। হঠাৎ ফীল করলাম উপর থেকে আমার শরীরের উপর তুলা টাইপের কিছু ঝরে পড়ছে। হাতে নিয়ে দেখি তুলা। উপর দিকে তাকিয়ে যা দেখলাম তা দেখে আমার হাটু কাপা শুরু করলো। সারা শরীর অনবরত ঘামতে থাকলো। দেখি শিমুল গাছের মগ ডালে সাদা পাঞ্জাবী পড়া একটা লোক বসে আছে আর আমার দিকে তাকিয়ে খিলখিল করে
হাসছে। তার চোখ দিয়ে আগুনের স্ফুলিঙ্গ বের হচ্ছে। জিহ্বাটা মুখ হতে বাহিরের দিকে বের হয়ে আছে। ভয়ে আমার দম বন্ধ হয়ে আসার অবস্থা।কথা বলার মত শক্তিটুকুও হারিয়ে ফেলছি। তখন বাড়ির পিছনে সিএনজির আওয়াজ পেলাম। সেই আওয়াজের সাথে সাথেই দেখলাম আমার শরীরে আর কোন তুলো পড়ছে না। উপর দিকে তাকিয়ে দেখি পাঞ্জাবি পড়া লোক থাকবে তো দূরের কথা শিমুল গাছটাই নেই। তখন মনে পড়লো নতুন বাড়ি করার জন্য মাস খানেক আগে বাবা শিমুল গাছটা কেটে ফেলছিলো আর ঝোপঝাড় গুলো ও পরিষ্কার করে ফেলছিলো।তাহলে কি আমার হ্যালোসিনেশন হচ্ছে। আর এত রাতে সিএনজি দিয়ে কে আসলো। রডটা সাথে নিয়ে বাড়ির পিছনে গিয়ে দেখি বাবার অনেক আগের এক বন্ধু। আমাদের বাড়িতে অনেক বার আসছিলো।কিন্তু এত রাতে আমাদের বাড়িতে কেনো। আঙ্কেল আমাকে দেখেই চিনে ফেললো,
- কি বাবা কেমন আছো?
- আঙ্কেল আমি ভালো আছি। কিন্তু আপনি এত রাতে?
- আর বলো না বাবা তোমার বাবা আগামীকাল বাড়িতে আসবে। একটা ইম্পরট্যান্ট কাজ আছে তাই তোমার বাবা আসতে বললো। বের হয়েছি সেই দুপুর বেলা কিন্তু রাস্তা ঘাটের যে অবস্থা গাড়ি পাওয়া যাচ্ছিলোনা। ওই দিকে রাস্তায় বিরাট বড় জ্যাম।
- আঙ্কেল আপনি আমাকে একবার ফোন দিয়ে বললেই পারতেন। আমি আপনাকে এগিয়ে নিয়ে আসতাম তাহলে আপনার এত কষ্ট হতো না।কথাটা বলার সাথে সাথে আঙ্কেল আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আমার হাতের রডটা মাটিতে পড়ে গেলো। আঙ্কেল আমাকে এমন ভাবে জড়িয়ে ধরে আছে মনে হয় আমার শরীরের রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। আংকেল এর শরীর থেকে একটা বাজে পঁচা গন্ধ আসছে যেমনটা পঁচা কোন মাংস থেকে আসে। আর মনে হচ্ছে আমাকে কেউ গরম লোহা দিয়ে চেপে ধরে আছে। হয়ছে তো আংকেল এইবার ছাড়েন আমি ব্যথা পাচ্ছি। তখন আঙ্কেল আমাকে বললো, ছেড়ে দেওয়ার জন্য তো জড়িয়ে ধরিনি।
হঠাৎ মনে পড়ে গেলো কিছু দিন আগে তো এই আংকেল রোড এক্সিডেন্ট এ মারা যায়। আমি এক চিৎকার দিয়েই অজ্ঞান হয়ে যায়।
,
যখন জ্ঞান ফিরে তখন দেখি সকাল হয়ে গেছে।আমার পাশে মা আর কাকি বসে আছে। মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,
- কি হয়েছিলো তোর। এত রাতে বাড়ির পিছনে কি করছিলি? আর এত জুড়ে চিৎকার করছিলি কেনো?
আমি জানি মাকে সবটা বললে এটা নিয়ে টেনশন করবে। এমনিতেই মা অসুস্থ এসব বললে হয়তো টেনশনে আরও বেশী অসুস্থ হয়ে পরবে।
- না মা কিছু হয়নি। আসলেই ঘুম আসছিলো না বলেই বাড়ির পিছনে গিয়েছিলাম। জ্যোৎস্না রাত ছিলো তো তাই নিজের ছায়া দেখেই ভয়ে চিৎকার করছিলাম।
- তুই কি আমার কাছে কিছু লুকানোর চেষ্টা করলি?
- মা তুমিও না। আমি আজ অব্দি কোনো কথা তোমার কাছে লুকিয়েছি বলো?
- মায়ের কাছে লুকাবি কেনো। যেটা বলতে ইচ্ছে করবে সেটা বলবি। আচ্ছা তুই এখন উঠে ফ্রেশ হয়ে নে আমি তোর জন্য নাস্তা রেডি করছি।
- মা তুমি তো অসুস্থ। আবার আমার জন্য সারা রাত ঘুমাতেও পারলেনা। এখন তুমি গিয়ে একটু ঘুমাও আমি তোমার আর আমার জন্য নাস্তা রেডি করছি।
- আমি এখন ঠিক আছি। তুই তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে নে।
মা কথা গুলো বলে চলে গেলো। তখন আমার রাতের ঘটনা গুলো আবার চোখের সামনে ভেসে উঠলো। টেবিলের উপর তাকিয়ে দেখি ডীম লাইটটা নেই। খেয়াল করে দেখি লাইটটা লাগানোই আছে জ্বালানো অবস্থায়। আমি বুঝতে পারছিনা রাতের বেলা আমার সাথে যেটা ঘটেছে সেটা কি আদৌও সত্যি নাকি ঘুমের ঘোরে এমনটা হয়েছে।
,
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে টিভি দেখছি। তখন মা বললো যে, নানুর নাকি শরীর খারাপ তাই দেখতে যাবে। আর আমাকে বললো নানুর অবস্থা বেশী খারাপ হলে আমাকে ফোন দিবে যাওয়ার জন্য।কথা গুলো বলে মা রেডি হয়ে চলে গেলো। আমি তখনও টিভি দেখছিলাম। হঠাৎ করে কারেন্ট চলে গেলো আমি টিভি অফ করে রুমে এসে শুয়ে আছি আর গতকাল রাতের কথা গুলো ভাবছি। তখন আম্মুর রুম থেকে টিভির আওয়াজ শুনতে পেলাম। তার মানে কারেন্ট আসছে আমি তো টিভির সুইচ অফ করে রেখে আসছিলাম তাহলে অন হলো কিভাবে।আমি বিছানা থেকে উঠে আম্মুর রুমে গিয়ে দেখি হরর ইপিসোড হচ্ছে। কিন্তু এই চ্যানেলটা আবার কবে এড হলো। ঠিক তখনই দেখতে পেলাম আমার সাথে গতকাল যেটা ঘটেছিলো এই হরর সিরিয়ালে ঠিক সেটাই দেখাচ্ছে। আমি আশ্চর্য হওয়ার শক্তিটুকুও বোধ হয় হারিয়ে ফেলছি।তখন আবার নিজে থেকেই টিভি অফ হয়ে গেলো। ভয়ে আমার চোখ গুলো কপালে উঠে গেলো। আমি রুম থেকে বের হয়ে কাকিকে সবটা বলার জন্য যখন বারান্দায় পা রাখলাম ঠিক তখনই-----।"
,
Part:01
,
Waiting For Next Part
,
Writer: Rimon Mahmud
,
রাত তখন বারোটা বাজে শুয়ে শুয়ে বন্ধুদের সাথে ম্যাসেঞ্জারে কথা বলছি। কথা বলার এক পর্যায়ে হঠাৎ করে ডাটা অফ হয়ে যায়। আবার অন করতেই অফ হয়ে যায়। ভাবলাম টেকনিক্যাল কোন সমস্যার জন্য হয়তো বা এমনটা হচ্ছে। এই ভেবে ফোনটা অফ করে শুয়ে আছি। রাতের বেলা আমার রুমের ডীম লাইট জ্বালানো থাকে। ঘোমের নেশায় চোখ দুটো বন্ধ হওয়ার উপক্রম। সে মুহূর্তে খেয়াল করলাম ডীম লাইট অফ অন ম্যাজিক শুরু করে দিছে। বিছানা থেকে এক লাফে উঠে সুইচ বন্ধ করে দিলাম।ভাবলাম কোন সমস্যার জন্যই হয়তো এমনটা হচ্ছে। যখন চোখটা লেগে আসছে তখন চোখের সামনে একটা আলো ভেসে আছে। ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে আড় চোখে তাকিয়ে দেখি ওই ডীম লাইট আবার অন অফ হচ্ছে। কিন্তু আলোটা এনার্জি লাইটের আলোর মতো। আর সেই সাদা আলোয় পিন্ডের মত কিছু দেখা যাচ্ছে। ঘুমের ঘোরে কি উল্টাপাল্টা দেখছি নাকি। বিছানার উপর বসে বসে এগুলোই চিন্তা করছি। তার একটু পরে দরজায় ঠুকঠুকানো টুকার আওয়াজ শুনতে পেলাম। মনের ভিতর একটা আতঙ্কের সৃষ্টি হলো।শব্দটা ক্রমে ক্রমে বাড়তেই থাকলো। হতে পারে আমাকে ভয় দেখানোর জন্য কেউ এমন করছে।কিন্তু এত রাতে কেউ ভয় দেখানোর জন্য এমনটাই করবে কেনো। হাজার প্রশ্ন নিয়ে ভয়ে ভয়ে দরজাটা খুলে দেখি কেউ নেই। আশেপাশে ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম কেউ নেই। জ্যোৎস্না রাত তাই বাহিরে দিনের মত আলো।কিন্তু আমি স্পষ্ট শব্দ শুনতে পেলাম। চোখে মুখে পানি দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেখি লাইটটা আগের মতই করছে। রাগে লাইটট খুলে টেবিলের উপর রেখে দিলাম। সত্যি বলতে আমার ভয় লাগছিলো। বাড়িতে মা ছাড়া আর কেউ নেই। বাবা চাকরির সুবাদে ঢাকা থাকে। এইদিকে মা ও খুব অসুস্থ এত রাতে সজাগ করা ঠিক হবে না। আবার যখন চোখটা একটু লেগে আসলো তখন দরজায় সেই আগের মতই শব্দ শুনতে পেলাম।এতটাই রাগ উঠছিলো যে ভয় পাওয়ার স্বত্বেও রুম থেকে একটা রড নিয়ে দরজা খুললাম।উঠানে বের হয়ে এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখলাম কেউ নেই। কিন্তু আমার সামনে সাদা একটা ছায়া ঘোরপাক করছে। আমি ওই ছায়াটার যত কাছে যাচ্ছি ছায়াটা ততই আমার থেকে পিছনের দিকে যাচ্ছে। এইভাবে এগোতে এগোতে আমি বাড়ির পাশের ঝোপের মধ্যে ঢুকে যায়। তখন আর ছায়াটাকে দেখতে পেলাম না। হঠাৎ ফীল করলাম উপর থেকে আমার শরীরের উপর তুলা টাইপের কিছু ঝরে পড়ছে। হাতে নিয়ে দেখি তুলা। উপর দিকে তাকিয়ে যা দেখলাম তা দেখে আমার হাটু কাপা শুরু করলো। সারা শরীর অনবরত ঘামতে থাকলো। দেখি শিমুল গাছের মগ ডালে সাদা পাঞ্জাবী পড়া একটা লোক বসে আছে আর আমার দিকে তাকিয়ে খিলখিল করে
হাসছে। তার চোখ দিয়ে আগুনের স্ফুলিঙ্গ বের হচ্ছে। জিহ্বাটা মুখ হতে বাহিরের দিকে বের হয়ে আছে। ভয়ে আমার দম বন্ধ হয়ে আসার অবস্থা।কথা বলার মত শক্তিটুকুও হারিয়ে ফেলছি। তখন বাড়ির পিছনে সিএনজির আওয়াজ পেলাম। সেই আওয়াজের সাথে সাথেই দেখলাম আমার শরীরে আর কোন তুলো পড়ছে না। উপর দিকে তাকিয়ে দেখি পাঞ্জাবি পড়া লোক থাকবে তো দূরের কথা শিমুল গাছটাই নেই। তখন মনে পড়লো নতুন বাড়ি করার জন্য মাস খানেক আগে বাবা শিমুল গাছটা কেটে ফেলছিলো আর ঝোপঝাড় গুলো ও পরিষ্কার করে ফেলছিলো।তাহলে কি আমার হ্যালোসিনেশন হচ্ছে। আর এত রাতে সিএনজি দিয়ে কে আসলো। রডটা সাথে নিয়ে বাড়ির পিছনে গিয়ে দেখি বাবার অনেক আগের এক বন্ধু। আমাদের বাড়িতে অনেক বার আসছিলো।কিন্তু এত রাতে আমাদের বাড়িতে কেনো। আঙ্কেল আমাকে দেখেই চিনে ফেললো,
- কি বাবা কেমন আছো?
- আঙ্কেল আমি ভালো আছি। কিন্তু আপনি এত রাতে?
- আর বলো না বাবা তোমার বাবা আগামীকাল বাড়িতে আসবে। একটা ইম্পরট্যান্ট কাজ আছে তাই তোমার বাবা আসতে বললো। বের হয়েছি সেই দুপুর বেলা কিন্তু রাস্তা ঘাটের যে অবস্থা গাড়ি পাওয়া যাচ্ছিলোনা। ওই দিকে রাস্তায় বিরাট বড় জ্যাম।
- আঙ্কেল আপনি আমাকে একবার ফোন দিয়ে বললেই পারতেন। আমি আপনাকে এগিয়ে নিয়ে আসতাম তাহলে আপনার এত কষ্ট হতো না।কথাটা বলার সাথে সাথে আঙ্কেল আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আমার হাতের রডটা মাটিতে পড়ে গেলো। আঙ্কেল আমাকে এমন ভাবে জড়িয়ে ধরে আছে মনে হয় আমার শরীরের রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। আংকেল এর শরীর থেকে একটা বাজে পঁচা গন্ধ আসছে যেমনটা পঁচা কোন মাংস থেকে আসে। আর মনে হচ্ছে আমাকে কেউ গরম লোহা দিয়ে চেপে ধরে আছে। হয়ছে তো আংকেল এইবার ছাড়েন আমি ব্যথা পাচ্ছি। তখন আঙ্কেল আমাকে বললো, ছেড়ে দেওয়ার জন্য তো জড়িয়ে ধরিনি।
হঠাৎ মনে পড়ে গেলো কিছু দিন আগে তো এই আংকেল রোড এক্সিডেন্ট এ মারা যায়। আমি এক চিৎকার দিয়েই অজ্ঞান হয়ে যায়।
,
যখন জ্ঞান ফিরে তখন দেখি সকাল হয়ে গেছে।আমার পাশে মা আর কাকি বসে আছে। মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,
- কি হয়েছিলো তোর। এত রাতে বাড়ির পিছনে কি করছিলি? আর এত জুড়ে চিৎকার করছিলি কেনো?
আমি জানি মাকে সবটা বললে এটা নিয়ে টেনশন করবে। এমনিতেই মা অসুস্থ এসব বললে হয়তো টেনশনে আরও বেশী অসুস্থ হয়ে পরবে।
- না মা কিছু হয়নি। আসলেই ঘুম আসছিলো না বলেই বাড়ির পিছনে গিয়েছিলাম। জ্যোৎস্না রাত ছিলো তো তাই নিজের ছায়া দেখেই ভয়ে চিৎকার করছিলাম।
- তুই কি আমার কাছে কিছু লুকানোর চেষ্টা করলি?
- মা তুমিও না। আমি আজ অব্দি কোনো কথা তোমার কাছে লুকিয়েছি বলো?
- মায়ের কাছে লুকাবি কেনো। যেটা বলতে ইচ্ছে করবে সেটা বলবি। আচ্ছা তুই এখন উঠে ফ্রেশ হয়ে নে আমি তোর জন্য নাস্তা রেডি করছি।
- মা তুমি তো অসুস্থ। আবার আমার জন্য সারা রাত ঘুমাতেও পারলেনা। এখন তুমি গিয়ে একটু ঘুমাও আমি তোমার আর আমার জন্য নাস্তা রেডি করছি।
- আমি এখন ঠিক আছি। তুই তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে নে।
মা কথা গুলো বলে চলে গেলো। তখন আমার রাতের ঘটনা গুলো আবার চোখের সামনে ভেসে উঠলো। টেবিলের উপর তাকিয়ে দেখি ডীম লাইটটা নেই। খেয়াল করে দেখি লাইটটা লাগানোই আছে জ্বালানো অবস্থায়। আমি বুঝতে পারছিনা রাতের বেলা আমার সাথে যেটা ঘটেছে সেটা কি আদৌও সত্যি নাকি ঘুমের ঘোরে এমনটা হয়েছে।
,
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে টিভি দেখছি। তখন মা বললো যে, নানুর নাকি শরীর খারাপ তাই দেখতে যাবে। আর আমাকে বললো নানুর অবস্থা বেশী খারাপ হলে আমাকে ফোন দিবে যাওয়ার জন্য।কথা গুলো বলে মা রেডি হয়ে চলে গেলো। আমি তখনও টিভি দেখছিলাম। হঠাৎ করে কারেন্ট চলে গেলো আমি টিভি অফ করে রুমে এসে শুয়ে আছি আর গতকাল রাতের কথা গুলো ভাবছি। তখন আম্মুর রুম থেকে টিভির আওয়াজ শুনতে পেলাম। তার মানে কারেন্ট আসছে আমি তো টিভির সুইচ অফ করে রেখে আসছিলাম তাহলে অন হলো কিভাবে।আমি বিছানা থেকে উঠে আম্মুর রুমে গিয়ে দেখি হরর ইপিসোড হচ্ছে। কিন্তু এই চ্যানেলটা আবার কবে এড হলো। ঠিক তখনই দেখতে পেলাম আমার সাথে গতকাল যেটা ঘটেছিলো এই হরর সিরিয়ালে ঠিক সেটাই দেখাচ্ছে। আমি আশ্চর্য হওয়ার শক্তিটুকুও বোধ হয় হারিয়ে ফেলছি।তখন আবার নিজে থেকেই টিভি অফ হয়ে গেলো। ভয়ে আমার চোখ গুলো কপালে উঠে গেলো। আমি রুম থেকে বের হয়ে কাকিকে সবটা বলার জন্য যখন বারান্দায় পা রাখলাম ঠিক তখনই-----।"
,
Part:01
,
Waiting For Next Part
Nice story next update
ReplyDelete