#সপ্ন
🚩🚩🚩🚩🚻🚻🚻🚩🚩🚩🚩🚩বাহিরের থেকে চেচা মেচির শব্দ ঘুম ভাঙলো আমার।
বিছানা থেকে নেমে গিয়ে দড়জা খুলতেই আমার চোখ কপালে। বাড়ি ভর্তি লোক। আর সব এলাকার সুন্দরী মেয়েদের পরিবারের। তারা এখানে কেন। হয়তো বিচার দিতে। "হুম আমি মেয়েদের ড্রিস্টাব করি। তাই বলে সব মেয়েদের না। তাহলে তারা কেন আসছেন। আর আমার পরিবারের তিন জন তিন ভাগে ভাগ হওয়া।
সবাই যার যার মতো কথা বলছেন। আর তাদের প্রশ্নের উওর দিচ্ছেন আমার পরিবার। কথা গুলি এমন ছিলো..
মহিলারা-
"দেখুুন আপনার ছেলে আমার মেয়েরই জামাই হবে। অন্য কারো সাথে বিয়ে দেওয়ার চিন্তা করলেও, সবাইকে জেলের ভাত খাইয়িয়ে ছারবো। মনে রাখবেন আমার ছোট ভাই কিন্তু এই এলাকার ওসি।
অন্য জন...
"রাখ তোর ওসি😠 আমার বড়ো ছেলে পুলিশ কমিশনার। 'বেয়াইন আপনার ছেলেকে আমার মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে দিলে আপনাদের কপাল খুলে যাবে। কথা দিলাম কিছুই করতে হবে না আপনার ছেলেকে। সারাজীবনের খরচা আমরা দিব।
৩য় জন... মায়ের বান্ধবি,
"থাকেন আপনাদের পুলিশ নিয়া। দোস্ত তুই না ক্লাস ৪র্থ শ্রেনিতে থাকতে বলছিলি, আমাদের ছেলে
মেয়ে হলে তাদের একসাথে বিয়ে দিবি। আজকে যেনো তার উল্টোটা না হয়।
আমার মা'র সহজ উওর ছিলো, "-আমার ছেলে জাকে পছন্দ করবে, তার সাথেই তার বিয়ে হবে।
.
বাবার ওখানের কথা.....
চাচারা...
"ফারুক সাহেব আপনি তো জানিনই। আমার টাকা পয়সার, অভাব নেই। পুরান ঢাকায় ৩টা বাড়ি, বনানীতে ৩টা, এখানে ২টা ও একটা ব্যকপ্রান্ড কম্পানি আছে। আমার একটা মাত্র মেয়ে, তার সাথে আপনার ছেলের বিয়ে দিয়ে দেন, তাহলে ওগুলা সবই আপনাদের হবে।
তার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে অন্য জন বলতে শুরু করলো...
"আরে রাখেন আপনার বাংলাদেশের বাড়ি গাড়ি। আমার অস্ট্রেলিয়ায় ২টা ৪৮তলা ফ্লাট আছে। আর বাংলাদেশে তো বাড়ি গাড়ির অভাব নেই। আর আপনার ছেলের সাথে আমার মেয়েরই, বিয়ে হবে এটাই ফাইনাল।
৩য় জন....
"ওরে মোর খোদা রে আইছে একজন। আপনেরা কি সেই খবর রাখেন "মনির" যে আমার মাইয়্যারে পছন্দ হরে, ভালোও নাকি বাসে। বিয়াই সাহেব কন দেহি টাহা পয়সাইদ্দা কি হইবে। মাইয়্যা থাকতে হইবে মনের মতোন।
দেখলাম আমার বাবা সোফায় একটু নড়ে চরে বসলেন, গলাটা একটু ঝারা দিয়ে বলেলেন..
"আমার ছেলে। আমার যার সাথে ভালো লাগে তার সাথেই " মনিরের" বিয়ে দিবো। কিন্তু কথা হলো যে সব চেয়ে বেশি যৌতুক দিবে তার মেয়ের সাথেই বিয়ে ফাইনাল।
.
আর ওদিকে ছোট বোনের তো কথাই নেই । চার পাশে সুন্দরী রমনিদের ছোট ভাই বড়ো ভাই তার আশে পাশে ঘুরছে। আর বলছে...
"রহিমা! তুমি শুধু তোমার ভাইকে আমার বোনকে বিয়ে করতে বলো। তুমি যা চাইবে। সব দিবো।
অন্য জন..
"রহিমা তুমি না আমাকে ভালোবাসো। অনেক বার একথা বলেওছিলে, কিন্তু আমি রাজি হইনি। তুমি যদি তোমার ভাইকে আমার বোনের সাথে বিয়ে করাতে রাজি করাতে পারো, তাহলে তোমার প্রফোজালটা একসেপ্ট করলো।
দেখলাম আমার বোন শুধু মুচকি মুচকি হাসছে, কিন্তু কেউর সাথে কোন কথা বলা তো দূরের কথা কাউকেই পাত্তাই দিচ্ছে না।
.
মাথার ভিতর কিছুই ঢুকছে না আমার। আমার সাথে তাদের মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য এতো পাগল কেন হচ্ছেন তারা। ইতি মধ্যে সুন্দরী রমনীরা আমি দড়জা খুলছি দেখে,আমার কাছে দৌড়ে এসে আমাকে টানা হিচরা শুরু করেছে।
এক হাত বড়ো আপুরা। আর এক হাত আমার ক্রাসরা। আমায় টানছে আর বলছে...
"মনির শুধুই আমার। ওকে যে ধরবে ওর হাত আমি কেটে দিব।
"রাখ তোর হাত কাটা কাটি। মনির শুধুই আমার ও আমাকে ভালোবাসে। 'মনির' এখন একটা সরকারি চাকরি পেয়েছে বলে সবাই এখন আসছে বিয়ে করতে।
এতোক্ষণে বুঝতে পারলাম যে কালকে আমি সেনাবাহিনীতে জয়েন করেছি। এজন্যই সবাই এতো কিছু করছে।
টানতে টানতে আমার হাতটাকে প্রায় ছিরে ফেলানর উপক্রম। আমি কোন মতো সবার থেকে বেচে একটা বড়ো আপুকে রেখে দড়জা অফ করে দিলাম। সস্থির নিশ্বাস নিয়ে বড়ো আপুর কাছে গেলাম একটা কিস দিতে। বড়ো আপুতো লজ্জায় শেষ। ঠীক যে সময় বড়ো আপুর ঠোঁটে আমার ঠোঁট রাখবে ঔ সময়ই কে যেনো আমার মুখের উপর পানি ঢেলে দিলো। পানির উঞ্চতা পেয়ে উঠে বসতেই বুঝলাম যে আমি এতোক্ষণ সপ্ন দেখছিলাম। আর সুনতে পেলাম মা যেতে যেতে বলছে...
"সয়তানের বাচ্চা জন্ম হইছে একটা। পড়ালেখা শেষ করে বসে বসে খায়। চাকরির কোন খবর নেই। বলছি একটা গার্মেন্সে ঢুকে যেতে। সারাদিন বিচার আসে, লজ্জা সরম বলতে কিছু নাই। ওরে যে কোন পাগলে বিয়ে করবে আল্লাই জানে....
-আমি মা'র কথা কানে না নিয়ে, বিছানা থেকে নেমে ফ্রেশ হয়ে চললাম_ সেনাবাহিনীতে ইন্টারভিউ দিতে।
কারন- আমাকে কালকের সপ্ন বাস্তব করতেই হবে যে কোন ভাবেই হোক।🚩🚺🚩🚩🚩🚩🚻🚻🚻🚩
#সপ্ন
মনির হাওলাদার
.
- ধর ফর করে শোয়া থেকে উঠে বসলাম। চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম না এটা তো আমারই ঘর। আমাদেরই বাড়ি তাহলে, এ বাড়িতে এতো শব্দ কীসের? আমার পরিবারে, আমি আমার ছোট বোন, আর মা-বাবা। তারা তিন জন এক সাথে জোরে চিৎকার করলেও, বাহিরে হওয়া চিৎকারের ছিটেফোঁটাও হবে না।
বিছানা থেকে নেমে গিয়ে দড়জা খুলতেই আমার চোখ কপালে। বাড়ি ভর্তি লোক। আর সব এলাকার সুন্দরী মেয়েদের পরিবারের। তারা এখানে কেন। হয়তো বিচার দিতে। "হুম আমি মেয়েদের ড্রিস্টাব করি। তাই বলে সব মেয়েদের না। তাহলে তারা কেন আসছেন। আর আমার পরিবারের তিন জন তিন ভাগে ভাগ হওয়া।
সবাই যার যার মতো কথা বলছেন। আর তাদের প্রশ্নের উওর দিচ্ছেন আমার পরিবার। কথা গুলি এমন ছিলো..
মহিলারা-
"দেখুুন আপনার ছেলে আমার মেয়েরই জামাই হবে। অন্য কারো সাথে বিয়ে দেওয়ার চিন্তা করলেও, সবাইকে জেলের ভাত খাইয়িয়ে ছারবো। মনে রাখবেন আমার ছোট ভাই কিন্তু এই এলাকার ওসি।
অন্য জন...
"রাখ তোর ওসি😠 আমার বড়ো ছেলে পুলিশ কমিশনার। 'বেয়াইন আপনার ছেলেকে আমার মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে দিলে আপনাদের কপাল খুলে যাবে। কথা দিলাম কিছুই করতে হবে না আপনার ছেলেকে। সারাজীবনের খরচা আমরা দিব।
৩য় জন... মায়ের বান্ধবি,
"থাকেন আপনাদের পুলিশ নিয়া। দোস্ত তুই না ক্লাস ৪র্থ শ্রেনিতে থাকতে বলছিলি, আমাদের ছেলে
মেয়ে হলে তাদের একসাথে বিয়ে দিবি। আজকে যেনো তার উল্টোটা না হয়।
আমার মা'র সহজ উওর ছিলো, "-আমার ছেলে জাকে পছন্দ করবে, তার সাথেই তার বিয়ে হবে।
.
বাবার ওখানের কথা.....
চাচারা...
"ফারুক সাহেব আপনি তো জানিনই। আমার টাকা পয়সার, অভাব নেই। পুরান ঢাকায় ৩টা বাড়ি, বনানীতে ৩টা, এখানে ২টা ও একটা ব্যকপ্রান্ড কম্পানি আছে। আমার একটা মাত্র মেয়ে, তার সাথে আপনার ছেলের বিয়ে দিয়ে দেন, তাহলে ওগুলা সবই আপনাদের হবে।
তার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে অন্য জন বলতে শুরু করলো...
"আরে রাখেন আপনার বাংলাদেশের বাড়ি গাড়ি। আমার অস্ট্রেলিয়ায় ২টা ৪৮তলা ফ্লাট আছে। আর বাংলাদেশে তো বাড়ি গাড়ির অভাব নেই। আর আপনার ছেলের সাথে আমার মেয়েরই, বিয়ে হবে এটাই ফাইনাল।
৩য় জন....
"ওরে মোর খোদা রে আইছে একজন। আপনেরা কি সেই খবর রাখেন "মনির" যে আমার মাইয়্যারে পছন্দ হরে, ভালোও নাকি বাসে। বিয়াই সাহেব কন দেহি টাহা পয়সাইদ্দা কি হইবে। মাইয়্যা থাকতে হইবে মনের মতোন।
দেখলাম আমার বাবা সোফায় একটু নড়ে চরে বসলেন, গলাটা একটু ঝারা দিয়ে বলেলেন..
"আমার ছেলে। আমার যার সাথে ভালো লাগে তার সাথেই " মনিরের" বিয়ে দিবো। কিন্তু কথা হলো যে সব চেয়ে বেশি যৌতুক দিবে তার মেয়ের সাথেই বিয়ে ফাইনাল।
.
আর ওদিকে ছোট বোনের তো কথাই নেই । চার পাশে সুন্দরী রমনিদের ছোট ভাই বড়ো ভাই তার আশে পাশে ঘুরছে। আর বলছে...
"রহিমা! তুমি শুধু তোমার ভাইকে আমার বোনকে বিয়ে করতে বলো। তুমি যা চাইবে। সব দিবো।
অন্য জন..
"রহিমা তুমি না আমাকে ভালোবাসো। অনেক বার একথা বলেওছিলে, কিন্তু আমি রাজি হইনি। তুমি যদি তোমার ভাইকে আমার বোনের সাথে বিয়ে করাতে রাজি করাতে পারো, তাহলে তোমার প্রফোজালটা একসেপ্ট করলো।
দেখলাম আমার বোন শুধু মুচকি মুচকি হাসছে, কিন্তু কেউর সাথে কোন কথা বলা তো দূরের কথা কাউকেই পাত্তাই দিচ্ছে না।
.
মাথার ভিতর কিছুই ঢুকছে না আমার। আমার সাথে তাদের মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য এতো পাগল কেন হচ্ছেন তারা। ইতি মধ্যে সুন্দরী রমনীরা আমি দড়জা খুলছি দেখে,আমার কাছে দৌড়ে এসে আমাকে টানা হিচরা শুরু করেছে।
এক হাত বড়ো আপুরা। আর এক হাত আমার ক্রাসরা। আমায় টানছে আর বলছে...
"মনির শুধুই আমার। ওকে যে ধরবে ওর হাত আমি কেটে দিব।
"রাখ তোর হাত কাটা কাটি। মনির শুধুই আমার ও আমাকে ভালোবাসে। 'মনির' এখন একটা সরকারি চাকরি পেয়েছে বলে সবাই এখন আসছে বিয়ে করতে।
এতোক্ষণে বুঝতে পারলাম যে কালকে আমি সেনাবাহিনীতে জয়েন করেছি। এজন্যই সবাই এতো কিছু করছে।
টানতে টানতে আমার হাতটাকে প্রায় ছিরে ফেলানর উপক্রম। আমি কোন মতো সবার থেকে বেচে একটা বড়ো আপুকে রেখে দড়জা অফ করে দিলাম। সস্থির নিশ্বাস নিয়ে বড়ো আপুর কাছে গেলাম একটা কিস দিতে। বড়ো আপুতো লজ্জায় শেষ। ঠীক যে সময় বড়ো আপুর ঠোঁটে আমার ঠোঁট রাখবে ঔ সময়ই কে যেনো আমার মুখের উপর পানি ঢেলে দিলো। পানির উঞ্চতা পেয়ে উঠে বসতেই বুঝলাম যে আমি এতোক্ষণ সপ্ন দেখছিলাম। আর সুনতে পেলাম মা যেতে যেতে বলছে...
"সয়তানের বাচ্চা জন্ম হইছে একটা। পড়ালেখা শেষ করে বসে বসে খায়। চাকরির কোন খবর নেই। বলছি একটা গার্মেন্সে ঢুকে যেতে। সারাদিন বিচার আসে, লজ্জা সরম বলতে কিছু নাই। ওরে যে কোন পাগলে বিয়ে করবে আল্লাই জানে....
-আমি মা'র কথা কানে না নিয়ে, বিছানা থেকে নেমে ফ্রেশ হয়ে চললাম_ সেনাবাহিনীতে ইন্টারভিউ দিতে।
কারন- আমাকে কালকের সপ্ন বাস্তব করতেই হবে যে কোন ভাবেই হোক।🚩🚺🚩🚩🚩🚩🚻🚻🚻🚩
#সপ্ন
মনির হাওলাদার
Nice story but...
ReplyDelete